Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Banglar Manab Prajukti O Bosotir Bibartan

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Khori Prakashani

  • Shipping Time : 7 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Essays>Archaeological & Historical Facts
  • Publication Year : 2025
  • ISBN No : 978-93-93833-45-7
  • Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
  • Pages : 135
  • Weight : 300 gms
  • Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
MRP : ₹350.00/- Discount : 15% Off
Your Price : ₹298.00/-
MRP is subject to change as per edition/impression by the publisher.
If so, it will be notified

About the Book

লেখক কৌশিক দত্ত রায়-এর “বাংলার মানব প্রযুক্তি ও বসতির বিবর্তন” হলো এমন একটি গ্রন্থ, যা বাংলার ইতিহাস, ভূগোল, প্রযুক্তি ও মানব বসতির ধাপ-ধাপে পরিবর্তনের গল্পকে একত্রে তুলে ধরে। বইটি বাংলার প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ে পর্যন্ত, কীভাবে মানুষের আবাস, বসতি, জীবনযাপন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও সামাজিক গঠন — সবকিছু ধাপে ধাপে গড়েছে, তার বিশদ চিত্র তুলে ধরে। লেখক কৌশিক দত্ত রায়, যিনি নিজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-ভিত্তিক পটভূমি ও নগর উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতা রাখেন, সেই বাস্তব ও প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকেই বাংলা অঙ্গনের বসতি ও প্রযুক্তি-উন্নয়নের বিবর্তন বিশ্লেষণ করেছেন

বঙ্গদেশে মানুষের বিচরণ ও বসবাস শুরু হয়েছে কয়েক হাজার বছর আগে থেকে। এই মানুষজনের বসতি তথা অর্থনৈতিক জীবন বিবর্তিত হয়েছে তার চারপাশের ভৌগলিক পরিবেশ এবং বিভিন্ন সময়ে বঙ্গভূমিতে আগত অভিবাসী মানুষের প্রভাবে। বহু বছর ধরে ঘটে চলা এই বিবর্তনের একটি রূপরেখা তুলে ধরাই এই বইটির মূল উদ্দেশ্য। যেকোনো যুগে বসতি ও তার অর্থনীতি নির্ভর করে থাকে সে যুগের মানুষের আয়ত্তাধীন প্রযুক্তি বিজ্ঞানের উপর। এই উপলব্ধি থেকেই একজন প্রযুক্তিবিদ হিসাবে কৌশিক দত্ত রায় বঙ্গের মানুষের বসতির বিবর্তনকে চর্চা করেছেন। প্রস্তরযুগে উৎপাদনের হাতিয়ার ছিল পাথরখন্ড, সেই অনুসারে বাংলায় তার বসতি সীমাবদ্ধ ছিল শুধুমাত্র সেই অঞ্চলটুকুতেই যেখানে পাথর সহজলভ্য। কৃষিকাজ ও লোহার ব্যবহার শেখার পর বসতি প্রসারিত হয়েছে বাংলা বিভিন্ন নদী উপত্যকার মধ্যে। মানুষের সম্ভব হয়েছে উদ্বৃত্ত ফলানো, যার মাধ্যমে বেশ কিছু মানুষ মুক্ত হয়েছে চাষবাস থেকে। বাংলায় তৈরি হয়েছে নগর, যাদের খাদ্য যোগান দিয়েছে গ্রাম

বিভিন্ন যুগে বাংলায় আগত এই অভিবাসী মানুষের কাছ থেকে বাংলার মানুষ অবলীলায় শিখে নিয়েছে তাদের প্রযুক্তি, খাদ্যাভ্যাস। বঙ্গদেশে অতিপ্রাচীনকাল থেকে অভিবাসী হয়েছেন নানা জায়গার মানুষ। এই অভিবাসী মানুষেরা সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তাদের জানা প্রযুক্তি ও জীবন যাত্রার নানা কলা কৌশল ও সংস্কৃতিকে। বইটিতে বাংলার বসতির ইতিহাসের চর্চা শুরু করা হয়েছে বাংলার প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই। এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে প্রস্তর যুগ ও ধাতু ব্যবহার শুরুর যুগে বঙ্গের মানুষের প্রযুক্তি কৌশল নিয়ে। পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক যুগে প্রযুক্তির বিকাশের সাথে বিভিন্ন মানুষজনের বাংলায় আগমন ঘটে। তাদের বিভিন্ন প্রযুক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে বাংলার সংস্কৃতিতে। এদেশের মানুষ সেটি খুব সহজেই গ্রহণ করেছে, আত্মস্থ করেছে ও তার সাথে উন্নত হয়েছে বাংলার প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি। অস্ট্রিকরা এদেশে চাষবাস শুরু করে, দ্রাবিড়রা তাকে আরো উন্নত করে, আর্য জাতির মানুষেরা বাংলার সংস্কৃতিতে প্রভাব ফেলে এবং আগেকার কৌম সমাজ ভেঙে বড় রাষ্ট্র গড়ে

মধ্যযুগে বঙ্গভূমিতে ইসলাম নিয়ে আসে নতুন প্রযুক্তি, বিজ্ঞান এবং বাংলা ভাষার চর্চা শুরু হয়। এযুগেই বাংলা প্রথম পরিচিত হল এই উপমহাদেশের বাইরের বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে। পরবর্তীকালে ব্রিটিশ রাজত্ব উপমহাদেশে শুরু হয় বাংলা থেকেই— তাই উপমহাদেশে পাশ্চাত্যের আধুনিক চিন্তার সাথে প্রথম পরিচয় বাংলারই। ১৯৪৭-এর পরে বাংলা দ্বিখণ্ডিত হলে দু'টি আলাদা রাষ্ট্রের মধ্যে দুই বাংলার পরবর্তী ইতিহাস রচিত হয়। এই সমস্ত সময়কালের বাংলার বসতিকে কেন্দ্র করে প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিবর্তনের গতি ও ছন্দকে কয়েকটি আলাদা যুগে ভাগ করে এই বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে।

এই সমস্ত সময়কালকে বইটিতে আটটি পর্বে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন আলোচনার মাঝে পাঠকের সুবিধার জন্য কতগুলো মানচিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। বইটিতে সংশ্লিষ্ট তথ্যের সূত্র উল্লেখিত হয়েছে, যেটি ভবিষ্যতের গবেষকদের সুবিধা করে দেবে।