Writer : Pulin Behari Dutta
- Shipping Time : 7 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Essays>Archaeological & Historical Facts
- Publication Year : 2025
- ISBN No : 978-93-93833-58-7
- Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : 150
- Weight : 320 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
মথুরা — এক অক্ষয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, যার ইতিহাস বৈদিক যুগের গূঢ় ধ্বনি থেকে শুরু করে আধুনিক কালের প্রত্নঅন্বেষণের সূক্ষ্ম আলো পর্যন্ত বিস্তৃত। এই গ্রন্থ সেই দীর্ঘ অভিযাত্রার এক নিবিড় এবং মর্মস্পর্শী অন্বেষণ। ‘মাথুর কথা’ নাম দেখে যেন কেউ একে শুধুই শ্রীকৃষ্ণলীলা বিষয়ক গ্রন্থ মনে না করেন; বরং এটি মথুরার বাস্তব ও বহুস্তরীয় ইতিহাসের এক বিনীত কিন্তু সাহসী প্রচেষ্টা।
পুরাণ, চৈনিক পরিব্রাজকদের বিবরণ, প্রত্নতত্ত্ববিদদের অনুসন্ধান, ইংরেজি-হিন্দি-বাংলা-সংস্কৃত নানা পুঁথির তথ্য এবং স্বচক্ষে দেখা স্তূপ-মন্দির-নিদর্শনের সমন্বয়ে রচিত এই ইতিহাস নির্মাণে লেখক আত্মনিবেদিত শ্রমের পরিচয় রেখেছেন।
ভারতের অতীত অনুসন্ধানে পাশ্চাত্যের মতো সুসংহত ঐতিহাসিক মনোযোগ আমাদের দেশে এখনও বিরল; সেই অভাব পূরণে লেখকের এই চেষ্টা এক নিঃস্বার্থ সত্যসন্ধানের দৃষ্টান্ত। প্রচলিত বিশ্বাসের গণ্ডি অতিক্রম করে প্রমাণ-ভিত্তিক আলোচনায় প্রবেশ করায় তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হলেও, তাঁর লক্ষ্য ছিল কেবল ভারতের বিলুপ্তপ্রায় অতীতকে সুস্পষ্ট করে তোলা। তাই মথুরা থেকে আবিষ্কৃত অসংখ্য প্রত্ননিদর্শনের মধ্যে মাত্র প্রয়োজনীয় কয়েকটির উল্লেখ করেই তিনি এই ক্ষুদ্র গ্রন্থে ইতিহাসের কাঠামো নির্মাণ করেছেন, আশা রেখেছেন—ভবিষ্যতের বিদগ্ধ গবেষকেরা এই ভিত্তির ওপর রচনা করবেন পূর্ণাঙ্গ স্থাপত্য।
বইটিতে প্রসঙ্গক্রমে ধ্বনিত হয়েছে ভারতমাতার তপস্যাশীল সন্তান—মহাবীর, বুদ্ধদেব, অশোক, উপগুপ্ত, চন্দ্রগুপ্ত, বিক্রমাদিত্য, শ্রীহর্ষ, মিহিরভোজ প্রমুখের সংক্ষিপ্ত জীবনরেখা; রয়েছে সাধবেন্দ্রপুরী, রূপ-সনাতন প্রভৃতি আচার্যগণের জীবনীও, যেগুলি সংগৃহীত হয়েছে চরিতামৃত ও ভক্তিরত্নাকর প্রভৃতি গ্রন্থ থেকে। লেখক বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করেছেন নিজের সীমাবদ্ধতা, পাঠকদের কাছে অনুরোধ করেছেন গুণগ্রহণ নয়—দোষ শনাক্ত করে সংশোধনের পথ দেখানোর জন্য, কারণ সত্যের সঠিক প্রচারই তাঁর একমাত্র সাধনা।
‘মানসী ও মর্মবাণী’ পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশের পর বইটি যখন পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়, তখনও লেখকের বয়স, অসুস্থতা ও ক্ষীণদৃষ্টি প্রুফ-সংশোধনে প্রতিবন্ধক ছিল; তবুও ইতিহাসের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ও কৃতজ্ঞচিত্তে উল্লেখিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও অর্দ্ধেন্দ্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ বিদ্বজ্জনের উপদেশ বইটিকে করেছে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও সমৃদ্ধ।
এই গ্রন্থ তাই কেবল মথুরার ইতিহাস নয়—এটি এক প্রবীণ সত্যঅন্বেষীর আত্মসমর্পণ, ভারতের বিস্মৃত অতীত পুনরুদ্ধারের প্রতি তাঁর অকুণ্ঠ আহ্বান, এবং ভবিষ্যৎ গবেষকদের প্রতি এক আন্তরিক অর্পণ। মথুরার আলোকে গড়ে ওঠা এই অন্বিষ্ট ইতিহাস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—দেশের প্রকৃত মঙ্গল নিহিত রয়েছে নির্ভুল, নির্ভীক ও সুসংহত সত্যপ্রচারে।
