বীরভূমের ব্রজ রহস্য: ইতিহাসের অমোঘ ফাঁদে তন্ত্র, প্রত্নতত্ত্ব আর মূর্তিপাচারের রোমাঞ্চ

বল্লালসেনের প্রতিষ্ঠিত রাজধানী 'লক্ষ্মণপুর'—যাকে মুসলিম ঐতিহাসিকেরা 'লখ্নুর' নামে উল্লেখ করেছেন—সেই বিস্মৃত প্রাচীন নগরীর সন্ধান পেয়ে তিন বন্ধু নামলো এক অভূতপূর্ব অভিযানে। বীরভূমে হঠাৎই পাওয়া এক অজানা চর্যাপদের আভাস তাদের টেনে নিল প্রাচীন পাণ্ডুলিপির রহস্যময় খোঁজে। কিন্তু এই অনুসন্ধান সহজ নয়—কারণ এর আড়ালে লুকিয়ে আছে ইতিহাসের ঘূর্ণাবর্তে হারিয়ে যাওয়া অজানা কাহিনি।

সরকারি আধিকারিক মনোময় যখন মূর্তিপাচারকারীদের তৎপরতার খবর নিয়ে নেমে পড়লেন, তখনই উন্মোচিত হতে লাগল পাল ও সেন যুগের সন্ধিক্ষণের একে একে চাপা পড়ে যাওয়া অধ্যায়। তন্ত্রসাধনার কেন্দ্রবিন্দু বীরভূমের মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা অদ্ভুত যন্ত্রম, এক অমোঘ নকশার মতো ছড়িয়ে থাকা অতিলৌকিক প্রতিরোধক—সবকিছুই যেন একে একে ফাঁস হতে লাগল। মনোময় আর তিন তরুণ সহযোগীর চোখে ভেসে উঠতে লাগল এক নিখুঁত ষড়যন্ত্রের ছবি।

এই যন্ত্রমের রহস্য কি কোনোভাবে জড়িয়ে আছে পণ্ডিত ভবদেব ভট্টের সান্ধিবিগ্রহের কূটনীতির সঙ্গে? হরিবর্মার উত্তরসূরি হিসেবে বঙ্গের সিংহাসনে কে বসেছিলেন—সামলবর্মা, না অন্য কেউ? মূর্তিপাচারকারীরাই কি সেই দুর্লভ পাণ্ডুলিপি হাতাতে চায়, নাকি তাদের আড়ালে আছে আরও ভয়ঙ্কর কোনও শক্তি? বীরভূমের ব্রজ রহস্য এক রূদ্ধশ্বাস অভিযানে এগিয়ে চলে, যেখানে ইতিহাসের কক্ষপথ আর আধুনিক সময়ের বিপদ একে অপরকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকে।