Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Bhrantikaal (ভ্রান্তিকাল)

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Abhijan Publishers

  • Shipping Time : 7 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Literature>
  • Publication Year : 2020
  • ISBN No : 978-93-88815-54-3
  • Binding : Paste Board (Hard)
  • Pages : 144
  • Weight : 500 gms
  • Height x Width x Depth : 8.26x7.08x0.78 Inch
MRP : ₹250.00/- Discount : 15% Off
Your Price : ₹212.50/-
MRP is subject to change as per edition/impression by the publisher.
If so, it will be notified

About the Book

আমার নাম প্রবাল। আমাদের ছেলেবেলায় ডাকনামের চল ছিল। 'আসল নাম ' হিসেবে একটা শক্ত ইসলামিক নাম, সঙ্গে বাংলা কাব্যিক একটা ডাকনাম। মা আমার এই কাব্যিক নাম রেখেছেন – প্রবাল। সমুদ্র নিয়ে মায়ের খুব আদিখ্যেতা আছে। আমার আসল নামটাও বলি, আহসানুল রাব্বি। বয়স বিয়াল্লিশ। একটা নামকরা বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত। বিয়ে করেছি দশ বছর হল। স্ত্রী সুমনা একটা স্কুলের টিচার। আমি ভালোই কামাই করি, পরিবারের অবস্থা বেশ ভালো।আজকের দিনটা আমার জন্য একটু অন্যরকম। আজকে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় আমার এক্স-গার্লফ্রেন্ড শুভ্রার সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা। ওর সঙ্গে আমার ব্রেক-আপ হয়েছে সতেরো বছর আগে। গতকাল হঠাৎ ফেসবুক মেসেঞ্জারে ওর মেসেজ, 'প্রবাল, আমি জানি তুমি আমাকে স্টক করো, আমাকে ভুলতে পারোনি। আমিও আসলে তোমাকে মিস করি, এত বছর পরেও। জানি না আমার মেসেজ দেখে তোমার কী মনে হচ্ছে, পুরোনো রাগ হয়তো জেগে উঠছে। কিন্তু এখন তোমাকে খুব দরকার। সত্যি বলছি, তোমাকে দরকার। কাল সাড়ে পাঁচটায় গুলশানে গ্লোরিয়া জিন্সে আসবে প্লিজ? আমি অপেক্ষা করব, খুব জরুরি দরকার। আর শোনো, মেসেজটা পড়ে ডিলিট করে দিয়ো, কোনো রিপ্লাই দেওয়ার দরকার নেই, কেউ দেখে ফেলতে পারে।'মেসেজ পড়ে বহুদিন পর বুকের ভেতর একটা ঢেউ টের পেলাম। আমার ভেতরের সমুদ্রটা দীর্ঘদিন শান্ত ছিল, আজকে এক ধরনের অস্থির ঝড় তৈরি হয়েছে সেখানে। বাইরে থেকে দেখে কেউ কিছু বুঝবে না। বারবার ঘড়ি দেখছি, ছটফট করছি। একধরনের ভালো লাগা কাজ করছে, আবার পুরোনো রাগও চাঙ্গা হতে চাইছে। মেয়েটা ধোঁকা দিয়েছিল, ভয়ংকর কষ্ট দিয়েছিল। তারপরও কেমন করে জানি একটা টোপ গেঁথে দিয়ে গেছে আমার ভেতরে। চেষ্টা করলেও আমি ওকে ভুলতে পারি না, ওর শরীর ভুলতে না।হ্যাঁ, আমি ওকে স্টক করি। অবশ্য শুভ্রা এখন সেলেব্রিটি ধরনের মানুষ। ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত যোগা স্টুডিয়োর পরিচালক সে। সেলেব্রিটিদের ফিটনেস ইন্সট্রাক্টর। ওর ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম টুইটার সব অ্যাকাউন্ট পাবলিক করা, সব পোস্ট সবাই দেখতে পায়। আমিও দেখি, প্রতিদিন অন্তত একবার। ওর নতুন ছবি দেখি, ওর উজ্জ্বল হাসি দেখি, সাফল্য দেখি, আনন্দ দেখি, ওর কোমরে নতুন ট্যাটু দেখি আর আমি ভেতরে জ্বলুনি টের পাই। সেই ঢিমে জ্বলুনিতে একধরনের নেশা আছে। এই নেশার হাত থেকে বাঁচতে পারি না। ওর ট্যাটু যেখানে, সেখানে আমার স্পর্শ মিশেছিল। আমি মনে মনে সেখানে স্পর্শ করি। এই বয়সে এত সুন্দর শরীর কেন হবে একটা মানুষের? যোগা করে করে শরীরের বাঁকে আরও শান দিয়েছে, দেখে আহত হই প্রতিনিয়ত। সুমনার শরীর সাদামাঠা, থলথলে মেদ। রাতে খেতে বসলে দেখি এক পাহাড় ভাত খায় গবগব করে। মেয়েটা বোঝেই না শরীর কত প্রয়োজনীয় বস্তু বিবাহিত জীবনে। অথচ ওর শরীরে ডুবে আমি শুভ্রাকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলাম, ব্যর্থ হয়েছি। সেই ব্যর্থতা সুমনার কাছে লুকাতে হয়েছে দিনরাত।শুভ্রাকে অনলাইনে দেখা আমার রোজকার বিনোদন। অনেকটা প্রতিদিন প্রিয় টিভি শো দেখার মতো। শুভ্রা আমার সিক্রেট গেটওয়ে। আমার সঙ্গে ব্রেক-আপের পরপরই শুভ্রা সোহানকে বিয়ে করেছে। ওদের বর্তমান ছবিও দেখি, জ্বলি। সোহানের পাশে শুভ্রার হাসিতে অভিনয় খুঁজি, সেই সঙ্গে আমার জন্য সান্ত্বনা শুভ্রা হয়তো সুখী নেই আমাকে ছাড়া। কী আছে সোহানের যা আমার নেই? এই সাধারণ একটা ছেলের জন্য আমাকে ছুড়ে ফেলল মেয়েটা? হাজার বার সোহানের সঙ্গে নিজের তুলনা করি। অর্থহীন সময়ক্ষেপণ, তবু করি। আমি তো নিজেই নিজের অবস্থান তৈরি করেছি আর সোহান তো বউয়ের টাকায় অহংকার দেখায়। আমি আরও উপরে উঠব, জানি সেটা। সোহান মালয়েশিয়ায় রিয়েল এস্টেট বিজনেসে দারুণ সাফল্য পেয়েছে। বর্তমানে ঢাকায় আবাসন বাণিজ্যে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি। সাউথ আফ্রিকাতেও ব্যাবসা ছড়িয়ে বসেছে, যেন পুরো দুনিয়াটাই ওর হাতের মুঠোয় কবজা করছে। ঈর্ষা করার মতোই সাফল্য। তবে সব কিছুই শুভ্রার বাবার দান। আমি যা করেছি সবই নিজের যোগ্যতায়। তাহলে আমার যোগ্যতা কম কীসে? মানছি, ওর ভাগ্য ভালো। টাকা আর শুভ্রা দুটোই এখন ওর ।