"বিজপুরবাসীরা এই ঘটনায় আতঙ্কে আছে। তাদের উদ্দেশ্যে কী বলবেন?" লোকাল নিউজ চ্যানেলের এক প্রবীণ সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন। বহুত এতে ভালোভাবেই চেনে, এলাকায় গুজব ছড়ানোর জন্য বিখ্যাত।

দেখুন বিজপুরে শুধু লাশ পাওয়া গেছে। যাদের লাশ পাওয়া গেছে তারা কেউ বিজপুরবাসী না। তাই অযথা আতঙ্কের কারণ আমরা দেখছি না। আরও অনুরোধ করব গুজব ছড়াবেন না। বিজপুরের ল অ্যান্ড অর্ডার আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে। আর কিছু প্রশ্ন আছে কি?' সপ্রতিভ উত্তর আসাতে নিজের ওপর কনফিডেন্স কিছুটা বেড়ে গেল রজতের।

"আর কতগুলো ঘুন আপনারা এক্সপেক্ট করছেন?' এবারের প্রশ্ন একটা অল্পবয়সি ছেলের। এই প্রশ্নটা শুনেই মাথা গরম হয়ে গেল রজতের। পালটা প্রশ্ন করল, *ক-টা পেলে আপনারা খুশি হন? শুনুন, যে-কোনো মৃত্যু দুঃখজনক। লাশের কারবার আমরা করি না, বরং উলটোটাই। এই ধরনের ফালতু প্রশ্ন করে পুলিশের সময় নষ্ট করবেন না। আমাদের মিডিয়া ব্রিফিং এখানেই শেষ হল।'

আর কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নিজের টেবিলে এসে বসল রজত, মোবাইল খুলে ফোন লাগাল রাহুলকে। “স্যার, নাকার জন্য ফোর্স আসছে?'

উলটোদিক থেকে রাহুলের উত্তর শুনে আবার রজত বলল, 'ওকে স্যার। আমি ওরা এলে ওদের পয়েন্টে ডিপ্লয় করে বাড়ি যাব। আর মিডিয়াকে সামলে নিয়েছি।" এবারও উলটোদিকে রাহুলের কথা শুনে রজত, শিয়োর স্যার। গুড নাইট।" বলে ফোন কেটে দিল। রাহুল জানিয়েছে কমিশনারেট থেকে মিনিট পনেরোর মধ্যে নাকা চেকিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত বাহিনী চলে আসবে।

থানায় বসে অপেক্ষা করতে লাগল সে।

কেন বিজপুরে এত লাশ পাওয়া যাচ্ছে ? কেই বা করছে এত খুন? রজত কি পারবে এর রহস্য উদ্ধার করতে?