Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Niswanga Iswar

Writer : Samiran Das

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Abhijan Publishers

  • Shipping Time : 7 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Literature>Autobiography & Biography
  • Publication Year : 2021
  • ISBN No : 978-81-95042-76-0
  • Binding : Paste Board (Hard)
  • Pages : 232
  • Weight : 400 gms
  • Height x Width x Depth : xx Inch
MRP : ₹350.00/- Discount : 15% Off
Your Price : ₹297.50/-
MRP is subject to change as per edition/impression by the publisher.
If so, it will be notified

About the Book

ঘুম আসছে না বিদ্যাসাগরের, অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ঈশ্বর, কেন তুমি এইসব করে বেড়াও? ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে কী লাভ?


কী লাভ আমি জানি না, শুধু একটা কথাই জানি, মানুষের দুঃখে আমার প্রাণ কাঁদে। ওদের কান্না আমার সত্তার মধ্যে ধ্বনিত হয়। চোখে জল চলে আসে, আমি উন্মাদ হয়ে যাই। পারি না নিজেকে স্থির রাখতে। অনেকেই হয়তো পারেন, কিন্তু আমি পারি না। কেন পারি না, এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। হয়তো এটা আমার জন্মার্জিত প্রবণতা। আমার নিয়ন্ত্রক। আমাকে সারাজীবনই বহন করতে হবে এই প্রবণতার অভিঘাত।


কুলীন ব্রাহ্মণ অতিবৃদ্ধ শম্ভু্নাথ বাচষ্পতি ও তার অতিতরুণী বধূর কথা মনে পড়ে। এক ঝলক সেই কিশোরীর মুখ দেখেই হাহাকার জেগেছিল বুকের মধ্যে। আর কিছুদিন পরেই এই বালিকা বিধবা হবে। সে জানতেই পারবে না , বেঁচে থাকার অর্থ কী! দাম্পত্য জীবনের আনন্দ কী! প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এইসব মেয়েদের মুখে আমি হাসি ফোটাবোই।বাচষ্পতির বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময় বলে এসেছিলাম, এই ভিটেয় আমি আর কখনোই জলস্পর্শ করব না।


আমি রেখেছি সেই প্রতিজ্ঞা।


একটা খবর পেয়ে অস্থির হয়ে পড়লেন বিদ্যাসাগর। তাঁর একমাত্র পুত্র নারায়ণচন্দ্র অন্যায়ভাবে বিন্ধ্যবাসিনী দেবী নামে এক বিধবার বাড়ি দখল করার চেষ্টা করছে। স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার জন্য নারায়ণের ওপর অসন্তুষ্ট ছিলেন বিদ্যাসাগর, এক্ষণে বিধবার জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার খবরে তাঁর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। ভাবলেন, এই ছেলেকে আর আমার পুত্রের পরিচয় দেওয়া উচিত নয়। ও কুপুত্র শুধু নয়, কুলাঙ্গারও। ওকে ত্যাজ্যপুত্র করা ছাড়া নিজের মান-সম্মান রক্ষার আর কোনো উপায় নেই। স্ত্রী দীনময়ীকে বললেন, নারায়ণের মতো একটি দুর্বৃত্তকে আমি আর ছেলের পরিচয় দিতে পারব না। ওকে ত্যাজ্যপুত্র করলাম।


হ্যাঁ, এইরকমই ছিলেন বিদ্যাসাগর। তিনি যন্ত্রণায় অধীর হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন, পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ হয়েছে, বন্ধুরা দূরে সরে গেছেন, তবুও নিজের সিদ্ধান্তে অবিচলিত থেকেছেন।


সেই আপসহীন যন্ত্রণাদগ্ধ ঈশ্বরের নিঃসঙ্গতা ও অন্তরাত্মার কান্নার শব্দ এই উপন্যাস।