গল্প, বিশেষ করে ছোটোগল্পের চেহারা-চরিত্র নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হয়। এখনও। কিন্তু ‘অণুগল্প’-দের চেহারা নিয়ে বিতর্কের বোধহয় বিশেষ সুযোগ নেই। একাধিক ‘কিন্তু’ হাজির হচ্ছে, কারণ এই অণুগল্পদের চরিত্র নিয়ে দু-একটা কথা খুবই প্রাসঙ্গিক। ছাপা চেহারায় যে গল্পরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কক্ষনো সাড়ে-আড়াইপাতা পেরিয়ে যায় না, সেখানে আকারে-ইঙ্গিতেই লেখককে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিতে হয়। অভিজ্ঞ পাঠকদের আজও নিশ্চয় বনফুলের অণুগল্পের স্মৃতিও নিশ্চয় মনে আছে। আর কোনও সচেতন লেখক কোনও কালে পাঠকদের সমঝদার ভাবতে চান না? এবং স্বপ্নময় চক্রবর্তীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা আছে। রসিক পাঠকদের কথাই সর্বদা সামনে রাখতে হয় এবং এটাও ভেবে নিতে হয়, গল্পকার স্বপ্নময় চক্রবর্তী তাঁদের অপরিচিত নন। পরিচিত লেখকদের ভাষা, গল্প নিবেদনের ভঙ্গি — প্রায় সবই জানা থাকে তবে সেই পছন্দের স্টাইল অণুগল্পের ক্ষেত্রে ঠিক কী, কোন ধরনের চিত্র-চরিত্র এবং ইঙ্গিত নিয়েছে, আগের তুলনায় স্টাইল কতটা বদলেছে, সেটা জানার জন্যই এই সঙ্কলন গ্রন্থটি পড়তে হবে। অণুগল্পদের ভাবনারা কোথাও কোথাও সেই আগেকার নীতিকথা স্টাইলের। তাহলে তা নতুন করে একালের ভাষায় গল্পের চেহারায় বলার কী দরকার! ঠিক এমন ভাবনার পাঠকদের জানিয়ে দেওয়া দরকার, লেখকদের এত দ্রুত নির্বোধ ভেবে ফেলাটা সরল হঠকারিতা, যা অনুমোদনযোগ্য নয়