ভাঙনের মুখ থেকে জীবনের কাছে ফিরে আসার কাহিনী “উজান”। বর্ধমান জেলার ভাতার বলবনা অঞ্চলের  গ্রামজীবনের এক অভিনব নকশা চিত্র! গ্রাম্য জীবনের নানান সামাজিক বিধি বিধান, ধর্মীয় রীতি নীতি যেমন চিত্রিত হয়েছে! তেমনি গ্রাম্য জীবনের কুটিল কুচক্রী মানুষের কথাও আছে! বিংশ শতাব্দীর  শেষ দশকে বিশ্বায়নের রমরমা  হাওয়ায় হুহু করে উড়ে যাচ্ছিল গ্রামীণ সভ্যতা! গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া শিখে দলে দলে চলে যাচ্ছিল দেশ বিদেশে আরো সুখ, আরো বেশি সাচ্ছন্দ উপভোগের জন্যে! কিন্তু গ্রাম থেকে চলে যাওয়া নাগরিক মানুষের জটিল দাম্পত্য সমস্যার টানাপোড়েনে ক্ষত বিক্ষত নতুন প্রজন্ম দিশেহারা হয়ে ফিরে আসে  তার ঠাকুরদার ভিটেতে! বৃদ্ধ একাকী ঠাকুমা তাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলে, ‘এই বাড়ি ছেড়ে তুই আর কোথাও যাবি না মানিক!’ একই সঙ্গে পরের বাড়ি ঝি খাটা মায়ের মেয়ে পুতুলের সমস্ত রকমের বিপক্ষতা জয় করে প্রেসিডেন্সিতে পড়তে আসা! গ্রাম্য অশিক্ষিত  দরিদ্র, নিম্ন বর্ণের  মানুষের  বিশেষ করে মেয়েদের জাগরণের প্রতিচ্ছবি এই উপন্যাস।