Writer : Arindam Chattopadhyay
- Shipping Time : 7 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Novels & Novellas
- Publication Year : NA
- ISBN No : 978-81-953017-7-5
- Binding : Paper Back
- Pages : 399
- Weight : 488 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.9x1 Inch
If so, it will be notified
About the Book
দু'হাজার আটশো আশি কোটি!
শতরঞ্জের প্রথম চারটি দানের পরে সম্ভাব্য বোর্ড পজিশনের সংখ্যা মোটামুটি এতগুলো। এতখানি সম্ভাবনাকে চৌষট্টি খোপের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব নয়।
খেলাটা তাই বোর্ডের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে আমাদের চারপাশে।
সে খেলায় ম্যাঙ্গো-পিপল হল পেয়াদা বিশেষ। তার চালচলন সোজা। এক-পা, এক-পা করে। তার পিছনোর ক্ষমতা নেই। সে পথ অবরোধ করে। সে মিছিলে মুঠো তোলে, গলা মেলায়! কখনো-সখনো অদৃশ্য সুতোর টান তাকে এনে ফেলে প্রভাবের সর্বোচ্চ আসনে!
তাহলে আড়াই চালের নাইট কারা? প্রবল ক্ষমতাশালী মিডিয়া। দূত অবধ্য এবং শোনা যায় সে নাকি গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ! নিজের তুরঙ্গ-চালে সে ছত্রখান করে দেয় সিস্টেমের সাজানো বাগান। একইসঙ্গে আঙুল তোলে শোষক ও শোষিতের দিকে, সমান প্রতিস্পর্ধায়। বিশৃঙ্খল আর অরাজক জঙ্গলের আর্দ্রতায় ছত্রাকের মতো বিস্তার হয় তার।
ক্ষমতার অলিন্দের আলো-আঁধারিতে যাঁরা শ্বাপদের মতো নিঃশব্দে ঘুরে বেড়ান, শিকার করেন - সেই রাজকর্মচারীরা হলেন বিশপ অর্থাৎ গজ। কখনো বা রুক... নৌকা। এঁদের প্রভাব সুদূরপ্রসারী! এঁদের আঘাত কখনো কখনো নেমে আসে মেঘের আড়াল থেকেই।
এদের সবার মাথা ছাপিয়ে থাকেন মন্ত্রী। প্রবল মদমত্ত, গর্বিত, ক্ষমতাশালী!
বাধা টপকাতে তিনি নাইটের (পড়ুন মিডিয়ার) শরণাপন্ন হন। বোর্ডে প্রভাব বিস্তার করতে বিশপ এবং রুক-এর। নিজেকে আড়াল করতে... কখনো বা স্বমহিমায় ফিরে আসতে কাজে লাগান ছাপোষা পেয়াদাকে। তিনি, একমাত্র তিনিই মনে মনে জানেন, এরা সবাই ডিসপেনসিবল। তিনি নন। ক্ষমতাহীন রাজার সিংহাসন রক্ষার আড়ালে তিনি বাজি জেতার ছক কষতে থাকেন।
জটিল নকশায় জটিলতর ব্যূহ-বিন্যাসে প্রতিনিয়ত হয়ে চলে নানা ছোট-বড় লড়াই। ইতিহাস জানে, এ সমস্ত লড়াই-ই আসলে ক্ষমতা দখলের।
সেইরকমই এক লড়াইয়ের আখ্যান "শতরঞ্জ"!
ধাড়সা-র এঁদো পাড়া থেকে করাচীর অপরাধ অধ্যুষিত চানেসার গোঠ, দিল্লীর গণেশনগর থেকে বারুইপুরের চটি-বাজার, আমেরিকার পূর্ব উপকূলের লস্ট নাইফ সার্কল থেকে লাহোরের মোচি গেট...সূক্ষ্ম জালের মতো ছড়িয়ে পড়ছে এ কার কাহিনি!
আপনার? আমার? আমাদের?
এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য মেলে ধরতে হবে শতরঞ্জের জটিল ছক।
নাকি ভুল বললাম? "শতরঞ্জ" সমস্ত প্রশ্নের দেবে না হয়তো। হয়তো, যা উত্তর দেবে তার চেয়ে বেশি প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়ে রাখবে পাঠকের সামনে!
খেলাটা কার? জিতল কে?
... এ খেলায় আপনি কোন ঘুঁটি?