এইচ. রাইডার হ্যাগার্ডের কালজয়ী উপন্যাস King Solomon’s Mines, (প্রথম প্রকাশ: ১৮৮৫ খ্রি.)-এর এই সচিত্র সংস্করণটি অদ্রীশ বর্ধনের অনুবাদে ‘রাজা সলোমনের হিরের খনি’ নামে প্রকাশিত হয়েছে।অ্যালান কোয়াটারমেনের অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী।

‘রাজা সলোমনের হিরের খনি’ (কিং সলোমনের মাইনস) একটি রোমাঞ্চকর অভিযানের উপন্যাস, যেখানে আফ্রিকার অজানা মরুভূমি ও পাহাড়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন রাজ্য ও অগাধ সম্পদের অনুসন্ধানের গল্প বলা হয়েছে।

গল্পের প্রধান চরিত্র অ্যালান কোয়াটারমেইন (Allan Quatermain) — এক অভিজ্ঞ শিকারি ও অভিযাত্রী। একদিন তিনি স্যার হেনরি কার্টারস ও তার বন্ধু ক্যাপ্টেন গুড-এর সঙ্গে দেখা করেন। স্যার হেনরির ভাই আফ্রিকার গভীরে কিং সলোমনের কিংবদন্তিতুল্য খনি খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। স্যার হেনরি তাকে খুঁজে বের করতে চান এবং কোয়াটারমেইনের সাহায্য চান।

কোয়াটারমেইন একটি পুরনো মানচিত্র পান — কথিত আছে, সেটি এক অভিযাত্রী জোসে সিলভেস্টার রেখে গিয়েছিলেন, যিনি কিং সলোমনের খনি খুঁজতে গিয়ে মারা যান। এই মানচিত্র অনুসরণ করে কোয়াটারমেইন, স্যার হেনরি ও গুড এক বিপজ্জনক অভিযানে বের হন। পথে তারা মরুভূমি পাড়ি দেন, পাহাড় অতিক্রম করেন, এবং বহু কষ্ট সহ্য করে অবশেষে এক গোপন রাজ্যে পৌঁছান — কুকুয়ানাল্যান্ড (Kukuanaland)।

সেখানে তারা ইগনসি (Ignosi) নামে এক স্থানীয় ব্যক্তিকে সাহায্য করেন, যিনি আসলে সেই রাজ্যের প্রকৃত রাজপুত্র। তাদের সহায়তায় ইগনসি দুষ্ট রাজা টওয়ালা (Twala)-কে পরাজিত করে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ইগনসি তাদের কিংবদন্তির সলোমনের খনিতে নিয়ে যান — যেখানে হীরার অসীম ভাণ্ডার রয়েছে। তবে সেখানেও নানা বিপদ আসে; কিছু সঙ্গী মারা যায়, আর সবাই অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে ফেরে। শেষে তারা ধনসম্পদ নিয়ে সভ্য জগতে ফিরে আসে এবং স্যার হেনরি তার হারানো ভাইকে খুঁজে পান।

মূল থিম:

• রোমাঞ্চ ও সাহস
• বন্ধুত্ব ও বিশ্বস্ততা
• লোভ বনাম মানবতা
• অজানা বিশ্বের অনুসন্ধান

গল্পের তাৎপর্য:

এই উপন্যাসকে আধুনিক "অ্যাডভেঞ্চার ফিকশন" ধারার সূচনাকারী বলা হয়। এতে আফ্রিকার অজানা জগত, ইউরোপীয় অভিযাত্রীদের মানসিকতা এবং মানব চরিত্রের নানা দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।