যুগে যুগে মনীষীরা আসেন, জ্ঞান, বোধ, প্রজ্ঞায় তারা এক একটি আলোকবর্ত্তিকা। মানব প্রেমের মন্ত্রে তাঁরা উদ্ভাসিত করেন মানব হৃদয়, অশিক্ষা ও কুসংস্কার দূর করে সুশিক্ষিত করে তোলেন সমাজকে। মানুষের মাঝে সম্প্রীতি ও শিক্ষার বিস্তার করে এ পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করে রাখেন।

চক্রবৎ পরিবর্তনশীল এই সমাজ, বিস্মৃতি পরায়ণ জনসাধারণ ধীরে ধীরে ভূলে যায় তাঁদের কথা। কিন্তু আবার যখন সর্বনাশের দরজায় পৌঁছে যায় এই সমাজ; কুসংস্কার, বিদ্বেষ,ঘৃনায় ভরে যায় চারপাশ তখন আবার প্রয়োজন পড়ে সেইসব মনীষীদের আদর্শ, শিক্ষা ও সম্প্রীতি মন্ত্রের! ডঃ ক্ষুদিরাম দাস ছিলেন এমনই একজন মনীষী! যার শিক্ষা ও সংস্কারের মতাদর্শ সম্প্রীতির ভাবাদর্শ আজও সমান প্রাসঙ্গিক! যার নির্ভিক জীবন সংগ্রাম একটি অনুসরণীয় পুঁথি। বর্তমানে এই মূল্যবোধহীন, সার্বিক সামাজিক অবক্ষয়ের কালে ডঃ ক্ষুদিরাম দাসের মতো এক মনীষীর ব্যক্তিত্ব আমাদের সামনে থাকা প্রয়োজন। যার জীবনের পথে ঋজু প্রত্যয়ী হাঁটা, মানুষের মনে সাহস যোগাবে। যার দিকে তাকিয়ে মানুষ বিশ্বাস ফিরে পাবে যে-সরল অনারম্বর জীবন যাপন করে, সত্যের পথে অবিচল থেকে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম ও স্বার্থহীন ভালোবাসার দ্বারা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা যায়। শতবর্ষ পরেও মানুষ তাঁকে সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন। বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁকে নিয়ে চর্চা হচ্ছে এবং তাঁর বইগুলি Digital করা হচ্ছে। তাই আজ এই সামাজিক সংকটকালে তাঁর মানবিকতাময় জীবন মানুষের সামনে তুলে ধরা বিশেষ প্রয়োজন। সেই কারণেই ‘যুগোত্তীর্ণ ক্ষুদিরাম দাস’- এর অবতারণা।