Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Koti Yoginir Goli

Writer : Trishna Basak

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Aksharbritwa Prakashan

  • Shipping Time : 7 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Literature>Short Story & Micro/Flash Stories
  • Publication Year : NA
  • ISBN No : NA
  • Binding : No Binding Available
  • Pages : NA
  • Weight : 200 gms
  • Height x Width x Depth : xx Inch
MRP : ₹300.00/- Discount : 20% Off
Your Price : ₹240.00/-

About the Book

কেউ ছোঁয়ার আগে সকালের খবরের কাগজটা বারান্দা থেকে কুড়িয়ে নিতে না পারলে মন খারাপ হয়ে যায় সুমনার৷ সূর্যের প্রথম কিরণের মতো উসুম উসুম নিউজপ্রিন্টে সবার আগে হাত দিলেই যেন তার সারাদিনের এলোমেলো ভেবে রাখা কাজগুলো একটা সুশৃঙ্খলা পেয়ে যায়৷ যেন চুম্বকের উত্তরমেরু দক্ষিণমেরুগুলো সঠিক ক্রমে গুছিয়ে বসে৷ যদিও চা খেতে খেতে কাগজ পড়ার অবসর কোনোদিনই থাকে না৷ প্রেসারে ডাল সেদ্ধ বসিয়ে, ভাতের হাঁড়িতে ধুয়ে রাখা চাল ঢালতে ঢালতে, অ্যাকোয়াগার্ড থেকে জল ভরার ফাঁকে ফাঁকে চায়ের কাপে চুমুক দিতে এলে ঠোঁট থেকে জিভে, জিভ থেকে গলায় এক বিস্বাদ আশাভঙ্গ চারিয়ে যায়৷ জুড়িয়ে যাওয়া চায়ের সঙ্গে সমত্ববোধ করে কঁুকড়েও যায় ভেতরে ভেতরে৷ সংসার আর তার মধ্যে সে সময় কোনো আড়াল থাকে না, কাগজেরও না৷

সন্ধেয় ফিরে কাগজটাকে আর খুঁজেই পায় না সে৷ খোঁজেও না সেভাবে৷ নিজেকে তথ্যবঞ্চিত শ্রেণীভুক্ত মনে করেও কষ্ট পায় না কখনও৷ বরঞ্চ সারাদিন অজস্র সঙ্কেত দিতে দিতে, নিতে নিতে এত ক্লান্ত থাকে, যে মুদ্রিত বা বৈদ্যুতিন অক্ষর, শব্দ, ছবি সবই বড়ো গুরুভার লাগে৷ সকালের শুরুতে তার যে আনন্দ তা শুধু কাগজ কুড়িয়ে আনার মধ্যে, পড়ায় নয়৷ যেন শরৎ ভোরের শিউলি ফুল, ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এদিক ওদিক তাকিয়ে টুক করে একটা পলাশ কুড়িয়ে নেওয়া৷

আজও কাগজটা কুড়িয়ে নিজস্ব মুহূর্তটুকুর সৌরভ নিচ্ছিল সুমনা৷ যদিও সময়ের বিচারে এমন কিছু সকাল নয়৷ মোড়ের মাথায় রিকশাগুলো আসতে শুরু করেছে৷ মায়ের হাত ধরে, বাবার সাইকেলে চেপে সুকলে যাচ্ছে বাচ্চারা৷ ওদের মুখেও সকালের কাগজের মতো একটা টাটকা ব্যাপার থাকে৷ সময় ওরা প্রশ্ণ করে করে বাবা-মাকে পাগল করে ফেলে৷ ফেরার সময় মায়েরাই প্রশ্ণ করে, ‘এটা কী লিখলি, দেখি ডায়েরিতে কী লিখে দিয়েছে’, সে সময় বাচ্চাগুলো যেন বাসি হয়ে যায়৷

কাগজ হাতে দিয়ে দু-দণ্ড দাঁড়িয়ে বাচ্চাগুলোকে দেখছিল সুমনা৷ দু-দণ্ডই৷ তার বেশি নয়৷ আর এই দু-দণ্ডের মধ্যেই ঘটে গেল ব্যাপারটা৷ আজকাল প্রথম পাতার হেডলাইনগুলো কি সব ৭২ পয়েন্টে ছাপা হয়? কাশ্মীর আর গুজরাট৷ চঁুইয়ে চঁুইয়ে রক্ত পড়ে, ভিজে যায় ভোরের মাটি৷ কেউ কি পড়ে এসব? সাড়া দেয়? সুমনা বিরক্ত হয়ে তারিখের জায়গাটা দেখছিল৷ আর তখনই তার