ভূতপ্রেতদের ভবিষ্যত কী? সেই হ্যারিকেন জ্বালানো গ্রাম এখন যেমন নেই, ছেলেমেয়েদের ভূতের গল্প শোনানোর দাদু ঠাকুমারাও অ্যান্ড্রয়েডে মুখ গুঁজেছে, কিন্তু তাঁদের অস্তিত্ব তো এভাবে শেষ হয়ে যেতে পারে না, আত্মা অবিনশ্বর, তাই তো সেই ভূতপ্রেতের অস্তিত্ব এখনো রয়ে গেছে উন্নত জীবনযাত্রার মাঝেও।

 উন্নতির সাথে বেড়েছে খুন, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই, আর সেই পাপের শিকার হয়েছে যাঁরা, তাঁরাই আবার ফিরে এসেছে তাঁদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে, তাঁদের সেই অভিশপ্ত জীবন মৃত্যুর কাহিনী কতটা বিভীষিকাময়? কতটা নৃশংস?

এখন প্রতিটি মানুষের মনে একাকিত্বের হাহাকার, মনের কথা বলার মানুষ কজনের আছে? সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা, নিজের কষ্টের কথা কজনকে মন খুলে বলা যায়? সেই কষ্ট যখন দমবন্ধ করে এক সময় মানুষটিকে শেষ করে দেয়, তখন সে চলে যায় সমাজের নিয়মরীতি, চক্ষুলজ্জা সবকিছুর ঊর্ধ্বে, প্রেতলোকে, তখন তার মনে জ্বলতে থাকে প্রতিহিংসার আগুন। সেই আগুনের লেলিহান শিখায় অশরীরীরা বদলা নিতে ফিরে আসে মনুষ্যলোকে, সেই কাহিনী শুধুই দুঃখ বা কষ্টের বা প্রতিশোধের নয়, সেখানে মিশে যায় তার জীবনের সকল অপ্রাপ্তিকে ফিরে পাওয়ার উন্মত্ত আকাঙ্খা।

 সভ্য জগতের মুখোশের আড়ালে অসভ্য রাজনীতি, সম্পর্ক, প্রেম, প্রতিশ্রুতি, যৌনতা সবকিছু নিয়ে রচিত একাদশটি  অলৌকিক প্রাপ্তমনস্ক গল্প সংকলন "অভিশপ্ত প্রেতকথা"।