Writer : Bhaswar Chattopadhyay
- Shipping Time : 7 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Historical Fiction
- Publication Year : 2025
- ISBN No : 978-93-91704-35-3
- Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : 104
- Weight : 220 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
মহারাণী দিদ্দা: ইতিহাসের পাতায় উপেক্ষিত এক হিন্দু নারী শাসকের কাহিনী
কাশ্মীরের ইতিহাসে মহারাণী দিদ্দা (৯৫৮–১০০৩ খ্রিস্টাব্দ) এক অসাধারণ নারী শাসক, যিনি লোহারা বংশের কন্যা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন এবং কাশ্মীরের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তাঁর শাসনকাল ছিল প্রায় ৪৫ বছর, যার মধ্যে ২২ বছর তিনি সরাসরি রাজত্ব করেন।
দিদ্দা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও, তিনি তাঁর বুদ্ধিমত্তা, কূটনৈতিক দক্ষতা এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার মাধ্যমে কাশ্মীরকে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করেন। তিনি সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করেন এবং নারীদের শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা সেই সময়ের পিতৃতান্ত্রিক সমাজে এক বিপ্লবী পদক্ষেপ ছিল।
তাঁর মৃত্যুর পর, দিদ্দার গঠিত প্রশাসনিক কাঠামো এবং সামরিক প্রস্তুতি কাশ্মীরকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। যদিও মহম্মদ গজনভীর কাশ্মীর আক্রমণের সময় দিদ্দা জীবিত ছিলেন না, তাঁর স্থাপিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং কৌশলগত পরিকল্পনা কাশ্মীরকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে, দিদ্দার জীবনের এই অসাধারণ কীর্তিগুলি ইতিহাসে যথাযথভাবে স্বীকৃতি পায়নি। কলহন তাঁর 'রাজতরঙ্গিণী' গ্রন্থে দিদ্দাকে 'ডাইনি' এবং 'পিশাচিনী' হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা সম্ভবত সেই সময়ের সমাজের নারীবিদ্বেষী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এইভাবে, দিদ্দার অবদান ও কীর্তিগুলি ইতিহাসের পাতায় উপেক্ষিত থেকে যায়।
২৩ বছর দাপিয়ে রাজত্ব করার পরেও ইনি উপেক্ষিতা। তাঁকে নিয়ে তৈরি হয়নি কোনও ছায়াছবি -
- পুরুষশাসিত সমাজ বারবার ছিনিয়ে নিয়েছে তাঁর গৌরব, কেন?
- শুধু নারী বলেই এই অবজ্ঞা নাকি নেপথ্য কাহিনি অন্য কিছু বলে?
- শরীরে খুঁত নিয়ে জন্মাবার জন্য ইতিহাসবিদেরা দিদ্দাকে ‘পিশাচিনী’ আর ‘রাক্ষসী’ নামে ভূষিত করেছেন - কেন?
লেখক সিদ্ধান্ত সেনের মনে প্রশ্ন জাগে। সে শ্রীনগরে এসে শুরু করে রাণীর খোঁজ। শংকরাচার্য মন্দিরের পুরোহিত জানায় একমাত্র পাতালবাগ গ্রামের অনুপম পণ্ডিত বলতে পারবেন মহারাণীর জীবনকাহিনী। কিন্তু এক ধাঁধার সমাধান করতে পারলে তবেই তিনি লেখককে শোনাবেন অবলুপ্ত সময়ের গল্প।
বর্তমানে, দিদ্দার জীবন ও কর্ম নিয়ে নতুন করে গবেষণা ও আলোচনা শুরু হয়েছে। তাঁর জীবনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম ও চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে, যা দিদ্দার অবদানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছে। এই প্রচেষ্টাগুলি দিদ্দার কীর্তিকে পুনরায় স্বীকৃতি দেওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মহারাণী দিদ্দার জীবন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ইতিহাসে অনেক নারী শাসক তাঁদের অসাধারণ কীর্তি ও অবদানের জন্য উপেক্ষিত হয়েছেন। তাঁদের জীবনের এই অনন্য অধ্যায়গুলি আমাদের জানা ও স্মরণ করা উচিত, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁদের থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে।