Writer : Rajat Pal
- Shipping Time : 7 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Essays>Archaeological & Historical Facts
- Publication Year : NA
- ISBN No : NA
- Binding : No Binding Available
- Pages : NA
- Weight : 515 gms
- Height x Width x Depth : xx Inch
If so, it will be notified
About the Book
সম্রাট গোপাল বাংলার মাৎস্যন্যায় পর্বের পরে যে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন, সেটিকে বহুদূর বিস্তৃত করেছিলেন তাঁর পুত্র এবং পৌত্র ধর্মপাল ও দেবপাল। পরবর্তী শাসকদের সময়ে সাম্রাজ্য সঙ্কুচিত হলেও পুনরায় সেটি বিস্তারলাভ করেছিল মহীপালের আমলে। মহীপালের প্রপৌত্র দ্বিতীয় মহীপালের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বরেন্দ্র অঞ্চলে স্বাধীন রাজ্য স্থাপন করেছিলেন কৈবর্ত্য দিব্বোক। দ্বিতীয় মহীপালের ভ্রাতা রামপাল সম্রাট হয়ে কয়েকবার রাজ্য উদ্ধারে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে সামন্ত রাজাদের একত্রিত করতে নিজেই এবার যাত্রা শুরু করেছেন।
রাঢ়বঙ্গের সামন্তশাসকেরা কৈবর্ত্যবিদ্রোহের পরে মগধের প্রতি আনুগত্যে তেমন নিষ্ঠাবান নয় বলেই মনে করেন সম্রাট। যাত্রাপথে তাঁদের সাথে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করছেন, অনুভব করছেন রাঢ়বঙ্গের সংস্কৃতি এবং গুণিজনদের সাহচর্য। সঙ্গে চলেছে যুদ্ধের প্রস্তুতি।
এদিকে দিব্বোকের ভ্রাতুস্পুত্র ভীম বর্তমানে বরেন্দ্রর শাসক। তিনি সংবাদ পেয়েছেন রামপালের প্রস্তুতির। মহারণের জন্য তিনিও প্রস্তুতি শুরু করবেন এবার। কি হবে বরেন্দ্রর ভাগ্য?
সম্রাট শশাঙ্কের পরবর্তী গৌড়বঙ্গে দীর্ঘ মাৎস্যন্যায় পর্বের পরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজাদের অধিরাজ হয়ে সম্রাট গোপালদেব আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। সুযোগ্য পুত্র ধর্মপাল এবং পৌত্র দেবপালের শাসনকালে গোপালদেবের সাম্রাজ্য বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল।
বেশ কিছুকাল গৌড়বঙ্গে দাপটে রাজ্যশাসন ও রাজ্যবিস্তারের পর, নারায়ণপাল ও পরবর্তী কয়েক প্রজন্মে পালেদের শৌর্যে ঘাটতি পড়েছিল। কনৌজ থেকে কামরূপ যাদের আনুগত্য স্বীকার করেছিল সেই পালেদের হস্তচ্যুত হতে শুরু করে একে একে বঙ্গ, বরেন্দ্র, কামরূপ এবং বারাণসী।
ক্ষয়িষ্ণু পালসাম্রাজ্য ফের উদ্ধার নামলেন সম্রাট মহীপাল। উত্তরবঙ্গ ও দণ্ডভুক্তি হতে কম্বোজদের বিতাড়িত করে, চন্দ্রদের বশ্যতা স্বীকার করিয়ে বারাণসী পুনরায় দখল করে নিলেন মহীপাল। ইতোমধ্যে প্রতিহার এবং রাষ্ট্রকূটেরা দুর্বল হয়ে যথাক্রমে কলচুরি এবং চোলেরা শক্তিশালী হয়েছেন দুইদিকে। মহীপালপুত্র নয়পালের শাসনকালে কলচুরিরাজ লক্ষ্মীকর্ণ বঙ্গ পর্যন্ত আক্রমণ করে বঙ্গে বর্মাদের স্থাপন করলেন। কিন্তু মগধ নিজ অধিকারে নিতে ব্যর্থ হলেন। নয়পাল পুত্র তৃতীয় বিগ্রহপালের সহিত কন্যা যৌবনশ্রীকে বিবাহ দিয়ে উভয় সম্রাটের সন্ধি হল। বর্মাদের জাতবর্মা লক্ষ্মীকর্ণের কন্যা বীরশ্রীর পাণিগ্রহণ করে পূর্বেই জামাতা হয়েছিলেন।
বিগ্রহপালের তিন পুত্র। মহীপাল, সুরপাল ও রামপাল। তৃতীয় বিগ্রহপালের পরে দ্বিতীয় মহীপাল সম্রাট হয়ে অত্যাচারী হয়ে উঠলে বরেন্দ্র অঞ্চলে বিদ্রোহ করে কৈবর্তপ্রধান দিব্বোক স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। জ্যেষ্ঠ মহীপালের রাষ্ট্রনীতির বিরোধিতা করে ভ্রাতা সুরপাল ও রামপাল বন্দি হলেন। দিব্বোকের সাথে যুদ্ধে মহীপাল এবং বন্দিদশায় সুরপালের মৃত্যু হলে রামপাল হলেন পরবর্তী পালসম্রাট।
কিন্তু সে নামেই সম্রাট। রামপাল রাজ্যভার নিয়ে দেখলেন মগধও তাঁর হস্তচ্যুত হয়েছে। রাঢ় অঞ্চলের সামন্ত রাজারা আনুগত্য প্রকাশে ইতস্তত করছেন। মাতুল মথনের সহায়তায় রামপাল মগধ উদ্ধার করে মাতুলকে অঙ্গপ্রদেশের শাসক করলেন এবং বরেন্দ্র উদ্ধারে যাত্রা করলেন। কিন্তু বীর দিব্বোক ও ভ্রাতা রুদ্রোকের কাছে যুদ্ধে পরাস্ত হলেন রামপাল।
কিন্তু দমে গেলেন না। শক্তি বৃদ্ধি করে ফের বরেন্দ্র দখলের উদ্দ্যেশে যাত্রা করলেন রামপাল....
এই নিয়েই রজত পালের ঐতিহাসিক উপন্যাস গৌড়চন্দ্রিকা।