Welcome to Dorlink
Selected Books
×
lal Chinar Pata

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Banglar Mukh Prakashan

  • Shipping Time : 7 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Essays>Social/Educational/Economic Criticism
  • Publication Year : NA
  • ISBN No : 978-93-8410822-9
  • Binding : Card Board (Hard) with Gel Jacket
  • Pages : 220
  • Weight : 500 gms
  • Height x Width x Depth : xx Inch
MRP : ₹300.00/- Discount : 15% Off
Your Price : ₹255.00/-

About the Book

১৯৯০ সাল থেকে শুরু হল কাশ্মীরি পণ্ডিত খেদাও অভিযান, মিছিল জমায়েত থেকে আওয়াজ উঠতে লাগলো – “নারায়ে তকদির, আল্লা হো আকবর। পণ্ডিত মহল্লায় হামলার সময় মসজিদের মাইকে আজানের আওয়াজ বহু গুন বাড়িয়ে দেওয়া হল যাতে আর্তনাদ, চিৎকার বাইরে শোনা না যায়। স্লোগান  দেওয়া হতে লাগলো – “ হাম ক্যা চাহতে আজাদি কিংবা অ্যায় জালিমো, অ্যায় কাফিরোঁ, কাশ্মীর হমারা ছোড় দো”।  হত্যা, অপহরন, লুটপাট, মহিলাদের রেপ কোন কিছুই বাদ গেলো না, ১৯৯০ সালের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ পণ্ডিত পরিবার হল কাশ্মীর ছাড়া। বেশির ভাগ আশ্রয় পেল জম্মুতে তৈরি হওয়া আশ্রয় শিবিরে আর বাকিরা ছড়িয়ে পড়ল ভারতের অন্যান্য শহরে। জম্মুর হাঁসফাঁস করা গরমে নোংরা বস্তির এক চিলতে তাঁবুতে কোনমতে সংসার, সরকারের দেওয়া রেশনের চাল-ডাল নিয়ে কোনরকমে ক্ষুন্নিবৃত্তি। এক সময়ে যাঁদের আপেলের বাগান ছিল, দেওদার কাঠের বহুমুল্য আসবাব ছিল তারাই জম্মুতে চরম অসন্মানের জীবন যাপন করে চলেছেন। কই তাঁদের জন্যে তো তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মহলের কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করতে দেখি না?

\r\n

 

\r\n

কেউ তো প্রশ্নও করেন না – এ কি রকম স্বাধীনতার লড়াই? যেখানে এক সম্প্রদায়কে স্বদেশ, ঘর বাড়ী, পরিবার, ইজ্জত সব কিছু হারাতে হবে ? কেনই বা দারিদ্রটার সুযোগ নিয়ে, উপত্যকায় পণ্ডিতদের ফেরার সম্ভাবনা কমে আসায়,  নেকড়েরা তাঁদের বসতবাড়ি, বাগান জলের দরে কিনে নিতে জম্মুতে দালাল পাঠাতে থাকবে? ভাবছেন হয়তো মিথ্যা বলছি, একবার রাহুল পণ্ডিতার Our Moon has Blood Clots পড়ে দেখতে পারেন, কিংবা কথা বলতে পারেন সর্বহারা কোন কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের সাথে। আশা করি বাস্তব অনুধাবন করতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। খুব জানতে ইচ্ছে করে আচ্ছা কাশ্মীরি পণ্ডিত রাও তো সব হারিয়েছিলেন – তাঁদের ভিটেমাটি, ঘরের মেয়ের ইজ্জত, কি অবর্ণনীয় দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে তো তারাও গিয়েছিলেন কই এটা তো শুনি নি যে কোন কাশ্মীরি পণ্ডিত হাতে AK47 তুলে নিয়েছে বা পাথর ছুঁড়েছে সেনা তথা সরকারের দিকে? না এই প্রশ্ন আমাদের করতে নেই তাহলে সেকুলার তকমা খসে যাবে যে। যাক ফিরে আসি প্রসঙ্গে, এই এত বড় exodus কিন্তু তদানীন্তন ভারত সরকারের টনক নড়ল অনেক বাদে, ততদিনে কাশ্মীরি পণ্ডিত দের যা ক্ষতি হবার হয়ে গেছে। কাশ্মীরের স্টেট পুলিশের হাত থেকে ক্ষমতা নিয়ে দেওয়া হল সেনাবাহিনী আর প্যারা মিলিটারি বাহিনীর হাতে, কাশ্মীর পরিণত হল battlefield এ। যেকোনো যুদ্ধক্ষেত্রে যা হয়, সন্ত্রাসবাদী/ জিহাদিদের সাথে প্রাণ যেতে লাগলো সাধারন নিরাপরাধ মানুষের। আপনাদের মনে আছেপাকিস্থানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো একসময় বলেছিলেন “ হাম হাজার সাল ঘাস খায়েঙ্গে, লেকিন কাশ্মীর লেকে রেহেঙ্গে”, পাকিস্থানের চিরদিনের স্বপ্ন কাশ্মীর বনেগা পাকিস্থান। তাই বাস্তবতার নিরিখে কাশ্মীরের স্বাধীনতার অসম্ভব। একটু জেনে নেওয়া যাক এই স্বাধীনতার দাবী কি আপামর জম্মু এবং কাশ্মীরের জনগনের? না, এই দাবী প্রধানত মুসলিম প্রধান কাশ্মীর ভ্যালির। কয়েকটি জেলা নিয়ে এই কাশ্মীর ভ্যালি। হিন্দু প্রধান জম্মু এবং বৌদ্ধ প্রধান লাদাখ ভারতের সাথেই থাকতে চায়। তাহলে কয়েকটি জেলা নিয়ে তৈরি কাশ্মীর ভ্যালির অবস্থা কেমন? একটি ল্যান্ড লকড জায়গার মতন, ভারতের মাথার উপর এধরনের একটি ল্যান্ড লকড দেশ না ভারতের পক্ষে শুভ হবে না সেই দেশটির পক্ষে শুভ। তর্কের খাতিরে যদি মেনে নেওয়া হয় যে কাশ্মীর ভ্যালি স্বাধীনতা পায়ও তবে পরের দিনই পাকিস্থান এটিকে দখল করে নেবে। আর তাঁর ফল হবে কাশ্মীর ভ্যালীতে এখনও যে কয়েক লক্ষ হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ আছে তাঁদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হবে নয়ত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সাথে যা ঘটে ছিল ঠিক তাই হবে। আর গোটা দুনিয়ার কাছে আজ সুস্পষ্ট পাকিস্থান সন্ত্রাস দমনের নামে বালুচিস্থান, ওয়াজিরিস্থানে ঠিক কি করছে? আর আজাদ কাশ্মীরের জনগনের পাকিস্থান বিরোধিতা প্রমাণ করে দেয় কি ধরনের আজাদি ভোগ করছে সেখানকার কাশ্মীরিরা?

\r\n

 

\r\n

                         আমি আমার এই উপন্যাসে ইতিহাসের এক অন্ধকারতম অধ্যায়কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র । এর জন্য কিছু ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার , আত্মজীবনী , সংবাদপত্র সহ বেশ কিছু বইয়ের সহায়তা আমি নিয়েছি । কাশ্মীর সব সময় আমাকে গভীরভাবে আকর্ষণ করে এসেছে । কাশ্মীরের সৌন্দর্যে যেমন আমাকে আনন্দ দিয়েছে, তেমনি এর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আমাকে কাঁদিয়েছে । কাশ্মীরের সম্পর্কে বহু মানুষের মতামত জানার পর আমি কাশ্মীর সমস্যার মূল খোঁজার জন্য নিজে পড়াশুনা আরম্ভ করলাম, ১৯৯০ এর ১৯ এ জানুয়ারি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাশ্মীর উপত্যকার ছেড়ে এক রাতের মধ্যে পালিয়ে আসতে হয়েছিল । কেন তাঁরা এই ভাবে চলে এসেছিলেন । কি হয়েছিল সে দিন । এসব প্রশ্নের উত্তর বাংলায় লেখা কোন বইতে সে ভাবে নেই । তাই সমগ্র বাঙ্গালী জাতি এই প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে সেই অন্ধকারেই থেকে গেছে । এই উপন্যাসটার মধ্যে দিয়ে আমি সেই প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করেছি ।বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত পত্রিকা স্বাধীন বাংলা ২৪ এ ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছে  কাশ্মীরী পণ্ডিতদের ওপর লেখা আমার উপন্যাস লাল চিনার পাতা । আমি ধন্যবাদ জানাই পত্রিকার সম্পাদক  ভাই Md Ataur Rahman কে । এই উপন্যাসে যে ঘটনা এবং চরিত্র গুলো তুলে ধরেছি তা কাল্পনিক । 

\r\n

 

\r\n

১৯৯০ এর ১৯ এ জানুয়ারি কাশ্মীর উপত্যকায় যা ঘটেছিল, যার জন্য সাড়ে তিন লক্ষ কাশ্মীরী পণ্ডিতকে সে দিন উপত্যকা ত্যাগ করতে হয়েছিল যা অনেকের ই অজানা থেকে গেছে , সেই জ্বলন্ত চিত্র তুলে ধরেছি আমার এই উপন্যাসে ।