গিলগামেশের দেশে: অমরত্বের খোঁজে

এক বিস্মৃত সভ্যতার ধুলোঝড়া প্রাচীরের ফাঁকে লুকিয়ে আছে এক মহাকাব্যিক কাহিনি—শক্তি, সন্ধান, আর শাশ্বত সত্যের অনুসন্ধানের গল্প। সুমেরীয় ইতিহাসের ধুলোঝড়া পাতায় খচিত আছে এক মহানায়কের নাম—গিলগামেশ, এক নৃপতি যাঁর রক্তে বইছিল দেবত্বের স্পর্শ, তবু হৃদয়ে ছিল মানুষের আকাঙ্ক্ষা।

উত-নপিশতিম—শুরুপ্পকের সেই রহস্যময় রাজা, যিনি মহাপ্লাবনের পরও দেবতাদের আশীর্বাদে বেঁচে ছিলেন, যেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তাঁর কাছেই পৌঁছাতে চেয়েছিল গিলগামেশ, একটাই প্রশ্ন নিয়ে—অমরত্ব কি সত্যিই সম্ভব? বন্ধুর মৃত্যুতে বিচলিত রাজা, অনন্ত জীবনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন এক বিপজ্জনক অভিযানে, যেখানে সময়, দেবতা ও প্রকৃতির বিরুদ্ধে তাঁকে লড়তে হয়।

"জীবন কেবল অমরত্বে নয়, বরং সেই পথে হাঁটার অর্থেই লুকিয়ে থাকে।"

কিন্তু গিলগামেশ কি সত্যিই অমরত্বের সন্ধান পেলেন? নাকি ভাগ্য তাঁকে শিখিয়ে দিল এক চিরন্তন সত্য—অমরত্ব দেহের নয়, নামের, কীর্তির?

কিউনিফর্ম লিপিতে লেখা পোড়ামাটির শত শত ট্যাবলেট আজও বহন করে এক হারিয়ে যাওয়া সাম্রাজ্যের কাহিনি, যেখানে রাজারা ঈশ্বর হন, আর ঈশ্বরেরা মানুষের মতো ভালোবাসেন, ভোগেন, ক্ষয়প্রাপ্ত হন। গিলগামেশের এই মহাকাব্য শুধু অতীতের নয়—এ এক শাশ্বত যাত্রা, যা আজও আমাদের অস্তিত্বের গভীরে প্রতিধ্বনিত হয়